সময়ের সাথে সাথে মানুষের পরিবর্তনটা দিন দিন ডিজিটাল থেকে আরো ডিজিটাল হচ্ছে। ব্যাক্তিগত থেকে শুরু করে ব্যাবসায়িক সব ক্ষেত্রেই এই বদলে যাওয়া লক্ষনীয়। আজ আমরা এমনি এক বদলে যাওয়া ডিজিটাল প্রয়োজনের কথা বলবো-
তা হলো কনফারেন্স সিস্টেম বা ডিসকাশন সিস্টেম।
কনফারেন্স সিস্টেম এবং ডিসকাশন সিস্টেম শব্দ দুটি ভিন্ন হলেও এর কাজের ধরন প্রায় একই রকম। কনফারেন্স বা ডিসকাশন বলতে আমরা এখানে যে কোন ধরনের মিটিংয়ের দিকেই ইঙ্গিত করছি, অর্থাৎ একাধিক লোকের উপস্থিতে এক বা একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনার মাধ্যম কে কনফারেন্স বা ডিসকাশন সিস্টেম বলা হয়।
ধরুন আপনারা ২০ জন লোক যদি কোন একটা জায়গায় বিশেষ কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান তাহলে সেখানে খালি গলায় কথা বলা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠে, প্রথম থেকে শেষ সবার কাছে সমান ভাবে বাক্য ঠিক মতো না পৌঁছানো থেকে শুরু করে সময়ের ব্যাপকতা এবং অনুমতি ছাড়া যে কোন ব্যাক্তির কথা বলা কন্ট্রোল করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আর এ থেকে পরিত্রানের উপায় হলো কনফারেন্স বা ডিসকাশন সিস্টেম।
কনফারেন্স বা ডিসকাশন সিস্টেম কিভাবে কাজ করে?
এটা খুবই ঝামেলা মুক্ত বন্ধু সুলভ একটা সিস্টেম যা আপনার মিটিংকে করে তুলবে আরো সহজ আর প্রানবন্ত। যদিও এই সিস্টেমটার সাথে আমরা অনেক আগ থেকেই পরিচিত তবুও নতুন করে আবার একটু আপডেট হয়ে নেয়া। হয়তো ভাবছেন তাহলে পুরানো জিনিস নিয়ে নতুন করে কথা বলার কারন কি? কারন হলো প্রযুক্তি এমন একটা জিনিস যা প্রতিনিয়ত আপডেট হয়, আর আপনিও যদি এই প্রযুক্তির সাথে নিয়মিত আপডেট না থাকেন তাহলে আপনি পিছিয়ে যাবেন!
এই কনফারেন্স বা ডিসকাশন সিস্টেম হলো ছোট ছোট কতো গুলো মাইক্রফোনের সমন্বয়। যা WPA2 এনক্রিপশান ব্যাবহার করে একটা ওয়াই-ফাই রাউটারের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়। এই পদ্ধতিতে উপস্থিত প্রত্যেক ব্যাক্তিদের সামনে একটি করে মাইক্রোফোন থাকে এবং তা ব্যবহার করে সবাই সবার মতামত প্রদান ও শ্রবন করতে পারে। সে সাথে একজন চেয়ারম্যান থাকে যে সকলকে কন্ট্রোল করতে পারে অর্থাৎ কে কথা বলবে, কে বলবে না, কতক্ষন কথা বলবে,কাকে কখন থামিয়ে দেয়া উচিত সবই একজনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়।
যদি একটু বিস্তারিত ভাবে বলি তাহলে বিষয়টা হচ্ছে সময়ের সাথে সাথে এই কনফারেন্স বা ডিসকাশন সিস্টেমেও যোগ হয়েছে অনেক নতুন নতুন ফিচার। এই যেমন ধরুন একটা সময় সব কিছুতেই ছিলো তারের সংযোগ, আর এখন মানুষ এই তারের জঞ্জাল থেকে মুক্তি পেতে আবিষ্কার করেছে ওয়াই-ফাই বা তার বিহীন ডিভাইস। মূল বিষয়টা হচ্ছে মানুষ এখন ঝামেলা মুক্ত বন্ধু সূলভ জিনিসপত্র ব্যাবহারে বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এই ধরনের মানুষের কথা মাথায় রেখে বিশ্ববিখ্যাত জার্মান কোম্পানী BOSCH তৈরী করেছে সম্পূর্ণ তার বিহীন আধুনিক প্রযুক্তি আর সুবিধা সংবলিত কনফারেন্স বা ডিসকাশন সিস্টেম। যা বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন নামকরা সরকারী–বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে আপনাদের সুপরিচিত ও প্রিয় প্রতিষ্ঠান অলিফিন্স ট্রেড কর্পোরেশন।
চলুন দেখে নেয়া যাক কনফারেন্স বা ডিসকাশন সিস্টেমের কিছু চমকপ্রদ বিষয় যা হয়তো এখনো আপনার অজানা!
BOSCH এর তৈরি এই কনফারেন্স বা ডিসকাশন সিস্টেমে আপনি পাচ্ছেন- তারবিহীন ওয়াই-ফাই পদ্ধতির Setup ।
এটা এমনি একটি যন্ত্র যা সয়ংক্রিয় ভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী শব্দের আওয়াজ কমানো বাড়ানোর ক্ষমতা রাখে।
চাইলে এই ডিভাইসের কথা গুলো আপনি লাউড স্পিকার দিয়ে শুনতে পারবেন আবার ইচ্ছে হলে ব্যাবহার করতে পারেন হেডফোন। এছাড়া একসাথে ব্যবহার করা যায় লাউড স্পিকার এবং মাইক্রোফোন।
এতে ৪.৩” এর ডিসপ্লে দেয়া আছে যা থেকে আপনি সব কিছু কন্ট্রোল করতে পারবেন, সেই সাথে ব্যাবহার করতে পারবেন কোম্পানীর লোগো। দেখা যাবে ব্যাটারীর চার্জ ও।
এই ডিভাইসটির মাধ্যমে মিটিংয়ে উপস্থিত ব্যাক্তিগত কথা বলার জন্য অনুমতি চেয়ে সিগনাল প্রদান করতে পারবেন।
এটি এমন এক ডিভাইস যার মাধ্যমে চাইলেই আপনি যে কারো কিংবা সবার কথা একটানা ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত রেকর্ডিং করতে পারবেন। এছাড়া USB ক্যাবলের মাধ্যমে রেকর্ড করা যাবে ১২৮ জিবি বা ৪ হাজার ঘন্টা। আছে এনার্জি সেভিংস মুড। ২ ঘন্টা ধরে ডিভাইসটি অব্যবহারিত থাকলে তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে স্লীপ মুডে চলে যাবে।
রিমুভাল লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারী আপনাকে দিবে ২৪ ঘন্টা সার্ভিস। যা খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিপূর্ণ চার্জ নিতে সক্ষম।
প্রতিটা কন্ট্রোল ইউনিটের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮০টি মাইক্রোফোন কানেক্ট করতে পারবেন।
USB ক্যাবলের মাধ্যমে চাইলেই রেকর্ডকৃত বিষয় সহজেই ট্রান্সফার করে নিতে পারেন আপনার ল্যাপটপে, ট্যাব কিংবা মোবাইল ফোনে। আবার নিরাপত্তার জন্য ব্যাবহার করা যাবে USB লক অর্থাৎ আপনি ছাড়া কেই এই ডিভাইস থেকে তথ্য আদান- প্রদান করতে পারবেনা।
এমন অসংখ্য মজার মজার সব ফিচার নিয়ে BOSCH আপনার জন্য তৈরি করেছে এই কনফারেন্স বা ডিসকাশন সিস্টেমটি। আর গ্রাহকের হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে এই চমৎকার ডিভাইসটি সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে অলিফিন্স ট্রেড কর্পোরেশন।
BOSCH কনফারেন্স বা ডিসকাশন সিস্টেমের ভিন্নতাঃ
বাজারে ভিন্ন ভিন্ন ব্রান্ডের এমন অনেক ডিভাইস পাওয়া গেলেও সব ফিচার একসাথে একমাত্র BOSCH এই পাওয়া সম্ভব। আর জার্মানীর এই কোম্পানির স্পেশালিটি হলো BOSCH কখনো কোয়ালিটিতে আপোষ করেনা। এছাড়া BOSCH এর তৈরি এই কনফারেন্স বা ডিসকাশন সিস্টেমটির মাধ্যমে আপনি চাইলেই মিটিং রুমে উপস্থিত ব্যাক্তি ছাড়া যে কেউ যে কোন স্থান থেকে লাইভে সবার সাথে মিটিং বা ডিসকাশনে অংশগ্রহন করতে পারবে।
সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে অলিফিন্স ট্রেড কর্পোরেশন এমন এক ক্যামেরা ডিভাইস নিয়ে এসেছে যা আপনাকে রীতিমত চমকে দিতে সক্ষম। এটা সাধারন কোন ক্যামেরা নয়। এটা এমন এক ক্যামেরা যা কনফারেন্স বা ডিসকাশন টেবিলের মাঝখানে সেট করে দিলে যেই ব্যাক্তি কথা বলবে স্বয়ংক্রিয় ভাবে তার দিকে ঘুরে যাবে। চাইলে বড় স্ক্রীনে সবাই তা দেখতে পাবে। প্রত্যেক ব্যাক্তির জন্য আলাদা আলাদা কোন ক্যামেরা কিংবা বক্তব্যরত ব্যাক্তিকে ফোকাস করার জন্য কোন টেকনেশিয়ানের প্রয়োজন হবেনা। শুধু তাই নয় এই HD ক্যামেরার মাধ্যমে চাইলে মিটিংয়ের সম্পূর্ণ বিষয়টি আপনি ভিডিও রেকর্ডিং ও করে নিতে পারেন।
মজার বিষয় হচ্ছে এতো সব সুযোগ- সুবিধা সংবলিত এই কনফারেন্স বা ডিসকাশন সিস্টেমটি ব্যাবহার করতে আপনাকে কোন তৃতীয় পক্ষের সফটওয়্যার ব্যাবহার করতে হবেনা। চাইলে বিল্ট- ইন ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে আপনি এর নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। শুধু ক্যামেরা ব্যবহারের ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে। একবার টাকা দিয়ে ডিভাইসটি কিনলে পরবর্তীতে আর কোন খরচ লাগবেনা।
এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা সহ আজই আপনার পছন্দের এই কনফারেন্স বা ডিসকাশন সিস্টেমটি অর্ডার করতে ফোন করুন আমাদের হটলাইন নাম্বারে। আমাদের একদল দক্ষ কর্মী কানপেতে আছে শুধু আপনার একটি হ্যালো শুনার অপেক্ষায়।
ধন্যবাদ।