IoT আইওটি বাংলাদেশ

IoT

IOT আইওটি এর পূর্ণরূপ হল Internet Of Things। সহজ ভাবে বুঝার চেষ্টা করি IOT জিনিসটা আসলে কি। যখন অনেক গুলো ডিভাইস একটা আরেকটার সাথে ইন্টারনেট দ্বারা যুক্ত থাকবে এবং তাদের মধ্যে ডাটা আদান প্রদান করবে  সেই সিস্টেমটাকেই বলা হয় IOT। স্বাভাবিক ভাবেই আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে সেই ডিভাইস গুলি আসলে কি হতে পারে। সেই ডিভাইসগুলো হতে পারে আপনার বাসার টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, বাথরুমের কল, দরজার লক থেকে শুরু করে একটা শহরের ট্রাফিক সিগন্যাল, স্ট্রিটলাইট সিস্টেম, GPS ইত্যাদি। এক কথায় বলতে গেলে প্রায় সমস্ত ডিভাইসকেই ইন্টারনেট এর আওতায় আনাকেই IOT বলে।

IoT

কি ভাবে এর উৎপত্তিঃ

“Internet of Things” শব্দটি প্রথম আলোর মুখ দেখে পিটার লুইসের হাত ধরে ১৯৮৫ সালে। তবে বিভিন্ন বস্তু বা ডিভাইসের নেটওয়ার্কের ধারণাটি আরো পুরনো। ১৮৪৪ সালে স্যামুয়েল মোর্স যখন টেলিগ্রাফ আবিষ্কার করে প্রথমবারের মত মোর্স কোড পাবলিক টেলিগ্রাফ ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বাল্টিমোরে পাঠাতে সক্ষম হন, বিজ্ঞানীরা এমন এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখা শুরু করে যেটা আসলে আধুনিক IOT ধারণাকেই তুলে ধরে।

স্মার্ট ডিভাইস নিয়ে এই কনসেপ্ট খুব বেশি দিনের নয়। ১৯৮২ সালের শুরুর দিকে প্রথম এই বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়। Carnegie Mellon Univerity ‘র মোডিফাইড কোক মেশিন ছিলো সর্বপ্রথম ইন্টারনেট কানেকটেড ডিভাইস। এই যন্ত্রের ফিচারগুলো ছিলো এরকম যে, এটি কোনো একটা কোল্ড ড্রিংক এর উপাদানের পার্সেন্টটিজ সম্পর্কে কাস্টমার কে অবগত করতে পারতো আর সেটি কাঙ্খিত লেভেল এর ঠান্ডা কি না তাও নির্ণয় করতে পারতো। ১৯৯১ সালে মার্ক উইসারের একটা পেপার প্রকাশিত হয়। সেখানে “Ubiquitous Computing“, “The computer of the 21st Century ” এছাড়াও কিছু একাডেমিক ভেন্যু যেমন “Ubicomp” এবং “Percom” নামের কিছু বিষয় আলোচিত হয় যার মধ্যে আইওটি নিয়ে একটা সমসাময়িক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পায়। ১৯৯৪ সালের ঘটনা। IEEE spectrum এ রেজা রাজি আইওটি ব্যাপারটা কে এইভাবে তুলে ধরেন যে,

১৯৯৯ সালে বিল জয় তার সিক্স ওয়েব ফ্রেমওয়ার্ক এর অংশ হিসেবে ডিভাইস টু ডিভাইস (D2D) কমিউনিকেশন এর কথা কল্পনা করেন এবং তার এই ধারণা World Economic Forum এ প্রস্তাব করেন। ঐ বছরই MIT ‘র Auto -ID Centre এবং এর সাথে সম্পর্কিত মার্কেট এনালাইসিস পাবলিকেশন এর সুবাদে আই ও টি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। Auto-ID Centre এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কেভিন এজথ কে Radio Frequency Identification (RFID) নিয়ে অবগত করা হয়। তার পছন্দানুযায়ী এই পুরো ব্যাপারটার নামকরণ করা হয় ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT)

কিভাবে এটি কাজে করেঃ

আমরা যা কিছু দেখি, করি, বা বিবেচনা করি তার সবকিছুই মোটামটি কোন না কোন সেন্সর দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে ডিজিটাল ডাটায় রূপান্তর করা যায়। আর এই ডাটা সমূহকে বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তৈরি করা যায়। 

ইন্টারনেট অফ থিংস হচ্ছে , সব ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রগুলোকে – ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের এর সাথে যুক্ত করা।

প্রয়োজনীয় কিছু ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস , সফটওয়্যার এবং সেন্সর এর সমন্বয়ে একটি নেটওয়ার্কিং সিস্টেম তৈরির মাধ্যমে এই প্রযুক্তি মুলত কাজ করবে। সেন্সর এর কাজ হল মানুষ কিংবা যেকোনো বস্তুর গতিবিধি মনিটর করে প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া এবং সেটা প্রসেস করে একটি ডিভাইস থেকে আরেকটি ডিভাইস এ প্রেরণ করা। এভাবেই চলতে থাকে একটি আইওটি সিস্টেম। তবে আসল কথা হল নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এই নতুন স্মার্ট ডিভাইসগুলা ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হতে পারে। একটা প্যাকেট অফ ডাটা যাকে বড় কোনো নোডে এপ্লাই করে গৃহস্থালি জিনিসপত্র থেকে শুরু করে যাবতীয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনগুলোকেও অটোম্যাট করে।

ইন্টারনেট অব থিংস বা IoT এর ক্ষেত্রে সেন্সর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিবেশ থেকে ডটা সংগ্রহ করে ওয়্যার কমিউনিকেশন, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি(RF), সিরিয়াল কমিউনিকেশন(UART) বা সিরিয়িাল পেরিফেরাল ইন্টারফেস (SPI) ইত্যাদি কমিউনিকেশনের মাধ্যমে লোকাল প্রসেসিং  ডিভাইসে ডাটা প্রসেস করা হয় পরবর্তীতে বিভিন্ন কমিউনিকেশন প্রটোকল যেমন HTTP, MQTT, Wifi, Bluetooth ইত্যাদি ব্যবহার করে ওয়েব সার্ভার বা ক্লাউড সার্ভারে পাঠানো হয়।সার্ভারে বা ক্লাউড সিস্টেমে ডাটাবেজে ডাটা সমূহ জমা থাকে। ডাটা এনালাইটিক্স এর মাধ্যমে সেন্সর থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন সময়ের ডাটা প্রসেস করা হয় এবং সিস্টেম থেকেই ফলাফল ফিল্টারিং করে সিদ্ধান্ত বা কমান্ড তৈরি করা হয় যা দ্বারা পরস্পর সংলগ্ন বা ডিপেন্ডেন্ট অন্যান্য সিস্টেমকে পরিচালনা করা হয়। ডাটা ভিজুয়্যালাইজারের মাধ্যমে গ্রাফিক্যালি বা পরিসংখ্যান আকারে রিপোর্ট প্রদর্শন করা হয়। সমস্ত প্রক্রিয়াটি অনলাইন নির্ভর হওয়ায় দূর থেকেই সিস্টেমে কমান্ড পাঠানোর মাধ্যমে  নিয়ন্ত্রণ, স্ট্যাটাস ভিজুয়ালাইজ করা, চালু করা বন্ধ করা সবই করা যায়।

আইওটি কেইস স্টাডিসঃ

আধুনিক এই সময়ে এসে আমরা সবাই স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, স্মার্টব্যান্ড আরো অনেক স্মার্ট ডিভাসের কথা শুনেছি। আচ্ছা,ভাবুন তো, আপনি যেই শহরে থাকেন, সেই গোটা শহরটাই যদি হয়ে যায় স্মার্ট সিটি! আরেকটা খোলাসা করে বলি ব্যাপারটা।

Case Study

কল্পনা করুন এমন একটা শহরে আপনি থাকেন যেখানে দিনের আলো না থাকলেই অটোম্যাটিকেলি শহরের রাস্তায় লাইট অন হয়ে যাবে। ধরুন আপনি সকাল্র ৮ টায় অফিসের জন্য রওনা হন। একদিন সকালে GPS এর মাধ্যমে আপনি জেনে গেলেন যে আপনি যে রুটে যাতায়াত করেন সেখানে জ্যাম আর তার সাথে এটাও জেনে গেলেন যে অন্য কোন রাস্তা ধরে আপনি দ্রুত অফিসে পৌছাতে পারেন। ভাবুন তো এমন একটা শহর যেখানে নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা না ফেললে সাথে সাথে নোটিফিকেশন এর মাধ্যমে আপনাকে সতর্ক করে দেয়া হবে। ধরুণ, কোনো একটা রাস্তায় এক্সিডেন্ট হয়েছে। কয়েক মুহূর্তেই পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস এম্বুল্যান্স সব হাজির অথচ তাদের ফোন করে করে ডেকে আনা হয়নি, এসেছেন নিজের গরজে! কি ভাবছেন?? এ তো অসম্ভব! না! আই ও টি র খাতিরে এইসব কিছুই সম্ভব।

আইওটি কম্পোনেন্টগুলো কি কি হতে পারে?

  • পিপলসঃ পিপলস হলো যারা আইওটি ডিভাইসগুলো ব্যবহার করবে ।
  • ইনফ্রাস্ট্রাকচারঃ ইনফ্রাস্ট্রাকচার হলো ইন্টারনেট কানেকশন ।
  • থিংস হলো যে ডিভাইসগুলো কানেক্টড থাকবে । যেমন- ক্যামেরা, টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি ।
  • প্রসেসঃ যে পদ্ধতি এই থিংসগুলো কানেক্টড থাকবে ।
  • ডাটাঃ এই প্রসেস এর সকল তথ্য যেখানে জমা থাকবে । যেমন- হ্যাডপ ।

আইওটি এ্যাপ্লিকেশনসগুলো যে সব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ব্যবহার করা হয় ।

  • ম্যানুফ্যাকচারিং
  • হেলথ ক্যায়ার
  • শিক্ষা ক্ষেত্রে
  • ডিজিটাল শহর তৈরি করার ক্ষেত্রে
  • সিকিউরিটি
  • মেডিক্যাল
  • ট্রান্সপরটেশন
  • হসপিটাল
  • রুম অটুমেশন করার ক্ষেত্রে ইত্যাদি ।

IoT Device Sample

IoT Radio

Airocom is first IoT Radio In Bangaldesh. Visit this link to know more. If You want to buy this type device please knock us at any time.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *