রহমান সাহেব সেদিন বাসায় এসে দেখেন বাড়িতে বেশ মানুষের জটলা। কারন অনুসন্ধানে জানা গেলো পাশের ফ্লাটের শামীম সাহেবের ৪ বছরের কন্যা অসাবধানতা বসত রুমে আটকা পড়েছে। এ নিয়ে বেশ হৈ হুল্লোড়। সবার সাথে সেখানে কিছু উৎসুক মানুষেরও দেখা মিলল। একেক জনের একেক পরামর্শের মধ্যে হঠাৎ এক ভদ্রলোক নিজের মানিব্যাগ থেকে ATM কার্ড এর মত দেখতে একটি কার্ড বের করে দরজার পাশে একটি যন্ত্রের উপর কার্ডটি সামান্য স্পর্শ করেই দিতেই না দিতে দরজা টা খুলে গেলো, এক্সেস কন্ট্রোল বা প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রন নামক যন্ত্রের এই বিষয়টা দেখে রীতিমতো রহমান সাহেবের চোখ কপালে, তাহলে আজকাল ATM কার্ড দিয়েও লক খোলা যায়? নিরাপত্তা বলতে বুঝি আর কিছু অবশিষ্ট নেই!
হ্যাঁ বলছিলাম নিরাপত্তার কথা। আমাদের প্রয়োজনে আমরা যেমন নিরাপত্তার যন্ত্র তৈরি করি তেমনি এমন জরুরী মুহূর্তে কিংবা অন্য যে কোন উদ্দেশ্যে তা ব্রেক করার পথও আবিষ্কার করি। ভাবুনতো আপনি আপনার জরুরী বিষয় গুলো যে লকারে রক্ষিত রেখেছেন সেই লকটা কতটা নিরাপদ ?
এক্সেস কন্ট্রোল বা প্রবেশধিকার নিয়ন্ত্রক এমনি একটি নিরাপত্তা যন্ত্র যা সব সময় আপনাকে রাখবে নিশ্চিন্ত এবং সুরক্ষিত। ভৌগলিক ভাবে এই এক্সেস কট্রোল বা প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রন নামক নিরাপত্তার বিষয়টার জন্ম বহু আগেই। প্রাথমিক ভাবে এই সিকিউরিটি তৈরি করা হয় বর্ডার গার্ড, বাউন্সার, টিকেট চেকারদের জন্য। আস্তে আস্তে এর নিরাপত্তার বৈশিষ্ট গুলো মানুষের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়। তারপর শপিং মল, অফিস থেকে শুরু করে এর ব্যবহারের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
এক্সেস কন্ট্রোল বা প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রন কি?
এক্সেস কন্ট্রোল বা প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রন বলতে যে স্থানে অনুমোদিত ব্যাক্তি ছাড়া অন্য কারো প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকে,যা উন্নতমানের আধুনিক বলয়ে তৈরি একটি নিরাপত্তা পদ্ধতি।
এক্সেস কন্ট্রোল বা প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রনের কাজ :
এই এক্সেস কন্ট্রোল বা প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রন নামক যন্ত্রটি মূলত আপনাকে একটি শক্ত নিরাপত্তা প্রদান করতে সহায়তা করবে।
আপনার অফিস,বাসা,শপিং মল,গার্মেন্টস,হসপিটাল থেকে শুরু করে প্রত্যেক দরকারি স্থানে রয়েছে এর বহুমুখি ব্যাবহার।
এছাড়া এই এক্সেস কন্ট্রোল বা প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রন যন্ত্রটি আপনার অফিসে স্থাপনের মাধ্যমে আপনি পাচ্ছেন অধীনস্ত সকল
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিস প্রবেশের সঠিক সময়,দৈনন্দিন হাজিরা,কে কতোবার অফিস থেকে বের হলো,কতবার প্রবেশ করল
এ হিসেব থেকে শুরু করে সর্বোপরি একটি সহজ বেতনের শীট বানানোর পরিপূর্ণ সহায়ক হিসেবে।
এক্সেস কন্ট্রোল বা প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রন যন্ত্রটির ব্যাবহার:
এক্সেস কন্ট্রোল বা প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রন যন্ত্রটি ৩ ভাবে ব্যাবহার করা যায় ।
১। পিন কোড বা পাসওয়ার্ড এর মাধ্যমে।
২। স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে।
৩। ফিঙ্গার প্রিন্ট বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমি যদি কোন একটা সিকিউরিটি পদ্ধতি ব্যাবহার করার পর তা ভূলে যাই তাহলে কি হবে?
সাধারনত এই সিস্টেমটি সম্পূর্ণ কন্ট্রোল করা হয় কম্পিউটারের মাধ্যমে। যেখানে ব্যাবহার করা হয় অত্যাধুনিক সফটওয়্যর। এই এক্সেস কন্ট্রোল বা প্রবেশাধিকার যন্ত্রটি যতটা শক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ঠিক ততোটায় সহজ ব্যাবহারের নিশ্চয়তা দেয়। যদি কোন কারনে আমি আমার সিকিউরিটি সিস্টেম ভুলে যাই তাহলে তা পুনরায় রিসেট করে নতুন ভাবে আবার সেট করে নিতে হবে। এই সিকিউরিটি পদ্ধতিতে সাধারনত কোন প্রকার চাবি ব্যাবহার করা হয়না। এমনকি যদি কোন ব্যাক্তি সিকিউরেট স্থানে অনুনোমোদিত ভাবে প্রবেশ করতে চায় তাহলে এক্সেস কন্ট্রোল নামক এই যন্ত্রটি ওই ব্যাক্তির ছবি তোলা সহ কতবার লক খোলার চেষ্টা করেছে তা পর্যন্ত সংরক্ষন করতে সক্ষম এবং তা ইমারজেন্সি এলার্মের মাধ্যমে সতর্ক সংকেত দিতে পারে।
বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে এই এক্সেস কন্ট্রোল এর ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখে অলিফিন্স ট্রেড কর্পোরেশন আপনাকে দিচ্ছে বিশ্ব বিখ্যাত ব্রান্ডের সব এক্সেস কন্ট্রোল বা প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রক। যেমন: VIRDI, ZKTECO, Anviz, SOYAL, HUNDURE, SUPREMA. এছাড়াও অলিফিন্স ট্রেড কর্পোরেশন ক্লাইন্টের চাহিদা অনুযায়ী যে কোন কোম্পানীর,যে কোন ধরনের এক্সেস কন্ট্রোল সরবরাহ এবং প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম।
বিগত ২০১০ সাল ধরে এই কোম্পানী ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বহু প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীতে এক্সেস কন্ট্রোল নামক যন্ত্রটি স্থাপনের মাধ্যমে সম্মান এবং সুনাম অর্জনের সাথে নিজেদের কে সেরা প্রমান করে আসছে। এছাড়া তাদের রয়েছে একদল প্রশিক্ষিত অভিজ্ঞ টিম,যারা সব সময় আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করনের সেবায় নিয়োজিত।