ওয়াকিটকি দরদাম ও ওয়াকিটকি লাইসেন্স

বাংলাদেশে বিভিন্ন দামে ওয়াকি টকি পাওয়া যায়, বিশেষ করে মটোরলা, বাউফেং, কেনউড, আইকম, এয়ারকম এইগুলো সর্বাধিক জনপ্রিয়। মটোরলা ওয়াকি টকির দাম সব চেয়ে বেশী অন্যগুলোর চেয়ে। এছাড়াও বিভিন্ন সুবিধার উপর ভিত্তি করে দামের তারতম্য হয়। তবে বাংলাদেশের ওয়াকিটকি মার্কেটে বেশীর ভাগ নকল পন্য পাওয়া যায়।  

নকল ওয়াকি টকি থেকে সাবধানঃ

ভেজাল বিরোধী অভিযানে দেশে খাদ্যে ভেজালের যে ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে, তা উদ্বেগজনক। খাদ্যে ভেজাল ঠেকানোর জন্য কঠোর আইন করেছে সরকার। যে আইনে তিন বছরের কারাদন্ড ও সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এর পরও নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ খবার বাজারজাত বন্ধ হচ্ছে না।

এইতো গেল খাদ্যে ভেজাল মেশানোর কথা। আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পন্য এখন ভেজালে আক্রান্ত। আমাদের নৈতিকতা এমন তলানিতে ঠেকেছে যে কোন কিছুতেই ভেজাল মেশাতে আমাদের বিবেকে আর আটকায় না। 

বর্তমানে দেশে অনেকেই সিকিউরিটি পন্য আমদানী ও বিক্রয় করে। যেমন সিসিটিভি, এক্সেস কন্ট্রোল, মেটাল ডিটেকটর, ওয়াকি-টকি ইত্যাদি উল্ল্যেখ যোগ্য। চায়নার সব চেয়ে নিন্ম মানের পন্যে কোন একটা ব্রান্ড কোম্পানীর লোগো বসিয়ে বাজারে বিক্রি করছে অহরহ। এতে করে গ্রাহক যেমন প্রতারিত হচ্ছে তেমন ঐ ব্রান্ডের পন্য সম্পর্কে একটা খারাপ ধারনা জন্মে।

দীর্ঘ বাজার গবেষনা করে প্রাপ্ত কিছু তথ্য, যা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। অনলাইন মার্কেটিং সহজ হয়ে যাওয়ার কারনে ব্যাংঙ্গের ছাতার  মত কিছু প্রতিষ্ঠান এই সব কর্মকান্ডে সাময়িক লাভের আশায় আমাদের কে প্রতারিত করছে। তাদের নিদিষ্ট কোন অফিস বা ঠিকানা না থাকার কারনে এরাও থাকে নিয়ন্ত্রন এর বাহিরে। অনেকেই অন্য কাজের পাশিপাশি এই ধরনের ব্যবসায়ে সম্পৃক্ত। তাই পন্য বিক্রয় পর্যন্ত এই সব প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা।

তাই যে পন্য আপনার সিকিউরিটি দিবে সে সব পন্য ক্রয় করার পূর্বে যাচাই করে নিবেন উক্ত প্রতিষ্ঠান কি আপনাকে বিক্রয় পরবর্তী সেবা দিতে সক্ষম? প্রতিষ্ঠানের কারিগরি কাজে জনবল কি আছে? ও কত দিন ধরে এই ব্যবসায় সম্পৃক্ত?

আজকের ভিডিও তে দেখবেন কি ভাবে নকল মটরোলা ওয়াকি-টকি তৈরী হয়।

নকল Motorola Walkie Talkie

কিভাবে ওয়াকি-টকি কাজ করে?  

মোবাইল ফোন এর মতন ওয়াকিটকি ‘পুশ-টু-টক’ পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে, যেখানে আপনাকে বাটন চাপ দিয়ে কথা বলতে হবে, অপর পাশের কথা শোনার জন্য আপনাকে বাটন কে ছেড়ে দিতে হবে।

কারা ওয়াকি টকি ব্যবহার করেঃ

বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওয়াকিটকি ব্যবহার করে থাকে তথ্য আদান প্রদানে। এছাড়াও দেশের অনান্য বাহিনী নিজেস্ব যোগাযোগের জন্য ওয়াকি-টকি ব্যবহার করে হয়ে থাকে। এছাড়া অফিসে, বাসাবাড়ির নিরাপত্তায়, সরকারি দপ্তরে ওয়াকিটকির ব্যবহার হয়।

বাংলাদেশে ওয়াকিটকি ব্যবহারের নিতিমালা

যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়াকিটকি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। বিটিআরসি সাধারনত দুইধরনের লাইসেন্স ইস্যু করে থাকেঃ

ওয়াকি-টকি লাইসেন্স
ওয়াকিটকি দাম ও ওয়াকিটকি লাইসেন্স

১।  Individual Frequency: লাইসেন্সে, যা সরকারী, আধা-সরকারি, এয়ারলাইন্স এর জন্য প্রযোজ্য। এটা একতা   ফ্রিকোয়েন্সি একতা চ্যানেল এর জন্য। ব্যবহারকারি যেকোনো কোম্পানির  ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে পারবে। প্রতি  ওয়াকিটকির জন্য প্রতি বছর ৪,৫০০ টাকা দিতে হবে।

২। Short Business Radio Frequency: এটি হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য। এটার ফ্রিকোয়েন্সি ৮০ টা, ৮০ টা চ্যানেলের জন্য। বেবহারকারি যেকোনো চ্যানেল ব্যবহার করতে পারবে। তবে ব্যবহার কারি কালো রঙের ওয়াকিটকি ছাড়া অন্য যেকোনো রঙের ব্যবহার করতে পারবে।

ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য আপনাকে অবশ্যই বিটিআরসির লাইসেন্স ইস্যু করতে হবে। লাইসেন্স ইস্যু করার অনেক সহজ। আমাদের প্রতিষ্ঠান আপনাকে লাইসেন্স করার জন্য সব ধরনের সহযোগীতা করব।

লাইসেন্স সম্পর্কিত আরো জানতে পড়তে পারেন।

2 thoughts on “ওয়াকিটকি দরদাম ও ওয়াকিটকি লাইসেন্স

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *